সালাহউদ্দিন আইয়ুবী পর্ব ১৩
Salahaddin Eyyubi 13 review in Bangla
Table of Contents
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় ইসলামের বিজয়ের স্বপ্ন লালনকারী দর্শকরা,আশাকরি সালাহউদ্দিন আইয়ুবী সিরিজটি আপনাদের ইতিমধ্যে মনের গভীরে জায়গা করে নিতে পেরেছে। আজকে আমরা গত পর্বের বিশেষ কিছু ঘটনা নিয়ে আলোচনা করবো। সেই সাথে সামনের পর্বে কি হতে চলেছে সেটা নিয়েও আলোচনা করবো। চলুন শুরু করি..
সালাহউদ্দীন আশকালান বিজয়ের পরে কারাতেগিন আশকালানে নিয়ম অনুযায়ী লুন্ঠন ও গনিমতের নামে জোর জবরদস্তি করে মালামাল নিতে শুরু করে। তখন সালাহউদ্দিন তাকে বাঁধা দেয়। এতে করে কারাতেগিন রাগান্বিত হয়ে চলে যায়। সালাউদ্দিন কে হুমকি দিয়ে যায় সামনে থেকে সে তার শত্রুর রূপে সালাউদ্দিনের সামনে আসবে। বন্ধুত্ব শেষ করে কারাতেগিন আশকালান ছেড়ে চলে যায়। বাংলা সাবটাইটেল দেখুন
সালাউদ্দিন সুলতান নুরুউদ্দীনের দরবারে আসে। সেখানে সুলতান সালাউদ্দিন কে আশকালানের শাসক হিসাবে নিযুক্ত করে। এই সময়ে হঠাৎ খবর আসে একটি বিশাল ক্রুসেড বাহিনী আসতেছে। সুলতান এবং সালাউদ্দিন উভয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ে। তখন ওই বাহিনীর পিছনে গুপ্তচর পাঠানো হয়।
তবে তারা ক্রুসেডে বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে। মূলত এই ক্রুসেড বাহিনীর প্রধান হিসাবে একজন ইহুদী নেতৃত্ব দিচ্ছে। যার মূল উদ্দেশ্য জেরুজালেমকে রাজধানী করে দরীয়ার ফুরাত থেকে দরীয়ায় নীল পর্যন্ত রাজ্য বিস্তার করা। মুসলমানদের ধ্বংস করা৷ ইসলাম ও আল্লাহর নাম মুছে ফেলে ইহুদিবাদ প্রতিষ্ঠিত করা৷
ক্রুসেড বাহিনী রানী ভিক্টোরিয়া ও গ্রেগর কে অপহরন করে আব্রাহামের কাছে নিয়ে যায়। এই আব্রাহম হলে মূল শক্তি ও প্রধান ব্যক্তি এই বাহিনীর। সালাহউদ্দিন আইয়ুবীর বাবা তাকে গাজার উদ্দেশ্য রওনা হতে পরামর্শ দেন। এতে করে সালাহউদ্দিন তার সৈন্য বাহিনী নিয়ে বাবা ও সুলতান নুরুউদ্দীনের নির্দেশ গাজ্জাতুল ইজ্জাহ এর দিকে রওনা হন। অন্য দিকে ক্রুসেড বাহিনীও গাজাবাসীর জন্য মৃত্যুর দূত হয়ে আসছে৷,আসকালান শহরের ইতিহাস ও সালাউদ্দিনের বিজয় অর্জন
সালাউদ্দিন কে সুলতান নুরুউদ্দীন আশকালান শহর দেওয়াতে মসুরের বাঘ মেলিক মোউদুদ রাগান্বিত হন। তিনি সুলতানের কাছে আশকালান দাবি করে। সুলতান সহজে দিতে চায় না। তবুও সুলতান সালাউদ্দিনকে সরিয়ে মেলিক মোউদুদকে আশকালান শহর দিয়ে দেয়।
সুলতান নুরুউদ্দীন খুব ই কষ্ট পান যখন সে ইসমত হাতুন কে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখে৷ সুলতান নুরুউদ্দীনের কাছে সালাউদ্দিন এসে বলে সেনাবাহিনী পিছিয়ে নিতে। আক্রমণ না করতে। কারন তখন ক্রুসেডার রা আমির মনসুর কে হত্যা করে। এবং সুরেয়া কে বন্দী অবস্থায় রাখে। এই সকল কারনে সুলতান সালাউদ্দিনকে অনুমতি দেয় সুরেয়াকে উদ্ধারের পরে তারা আক্রমণ করবে। সুরেয়া কে উদ্ধার করতে গিয়ে বিপদে পড়ে সালাউদ্দিন। তাদের প্রথম পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়। যদিও পরবর্তীতে সুরেয়াকে সালাউদ্দিন উদ্ধার করতে পারে।
কিন্তু এক নাইট সৈন্য হঠাৎ করে একটা তীর নিক্ষেপ করে। সুরাইয়ার পীঠে তীর ঢুকে যায়। সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে
এদিকে সুরাইয়াকে সাহায্য করা সোফিয়া প্রাসাদে ফিরে আসে। অপরদিকে সোফিয়াকে প্রশ্ন করে কমান্ডার “এখানে তুমি কি করছো”? কমান্ডারের এই প্রশ্নের মিথ্যা জবাব দেয় সোফিয়া। সে বলে যে সুরাইয়াকে ধওয়া করতে করতে এখানে এসেছে। আসলে সে সরাইয়াকে পালাতে সাহায্য করছে।
ক্ষমতার ভূত খুব ভালো করেই চেপে বসেছে মেলিক নুসরুদ্দিনের কাঁধে।নিজের অজান্তেই আটকে গেল তবে মহান উদ্দেশ্য অর্জনের লক্ষ্য তাকে আবারও প্রাসাদে ফিরতে বাধ্য করলো।কিন্তু তার কষ্টগুলো ছাইচাপা আগুন হয়ে ক্ষতবিক্ষত করছিল তার হৃদয়কে।
মেলিক নুসরুদ্দীন সেনাবাহিনীর একটি অংশকে তার দলে ভীড়াতে সক্ষম হল। পাহাড়ের এফেন্দির কথা মোতাবেক মেলিক নুসরুদ্দিন আসকালের দিকে রওনা হলো। “পাহাড়ি এফেন্দির” পাতা ফাঁদে। দূরদর্শী সুলতান নুরুদ্দিন জেঙ্গী যখন বুঝতে পারলেন শত্রুরা মেলিক সালাউদ্দিনের “রহস্য” ঘিরে সাম্রাজ্য নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।তখনই সুলতান সবার সামনে মেলিক সালাউদ্দিনের রহস্য উন্মোচন করে দেন।
মেলিক নুসরুদ্দিন এবার বুঝতে পারল তার আর রক্ষা নেই।যে রহস্যকে রক্ষাকবচ বানিয়ে এতদিন সে টিকে ছিল।সেটাও সুলতান কেড়ে নিল। কিন্তু না পাহাড়ি এফেন্দির কুটচাল এখনো শেষ হয়নি। প্রাসাদের প্রতিটি রন্ধে রন্ধে বিছিয়ে রেখেছে ষড়যন্ত্রের ফাঁদ।কালো কাপড়ে চোখ বেঁধে নুসরুদ্দিনকে নিয়ে যাওয়া হলো পাহাড়ি এফেন্দির আস্তানায়।
বর্ডারের কাছে থাকাতে বিদ্রোহের পর সেখান থেকে আক্রমণ করাও সহজ ছিল। কিন্তু সালাহুদ্দীন আইয়ুবি তার চৌকস গোয়েন্দা প্রধান আলি বিন সুফিয়ান কে দিয়ে সব তথ্য আগেই পেয়ে যান ।আর খুবই কৌশলে তাদের বিদ্রোহ দমন করেন। এদিকে সেনা বিদ্রোহ করিয়ে দালালরা সম্রাট ফ্রাঙ্ককে আক্রমণ করার আগমনও জানায়।
ইতিমধ্যে ট্রেলারে ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে সালাউদ্দিন বন্দী হবে।
ক্রসেডাররা বিশাল বাহিনী নিয়ে আক্রমণ করবে। তারপরও মুসলমানদের বিজয়ের স্বপ্ন লালনকরে যাবে। তাই আগামী পর্বটি হবে আরো আকর্ষণীয় এবং রোমাঞ্চকর। আগামী পর্ব দেখতে চোখ রাখুন অনুবাদ মিডিয়া পেজে। more