Onubad Media

মেহমেত ফাতিহি সুলতান পর্ব ২

Mehmed Fetihler Sultan Episode 2 in Bangla

সকলেই জানেন মেহমেদ (ফাতিহ সুলতান) নতুন সিরিজ শুরু হয়েছে৷ প্রথম পর্ব নিয়ে অনেকের নানা রকম মতামত আছে। সকলের মন জয় করতে পেরেছে এই পর্বটি। আরো জমজমাট একটি সিরিজ উপভোগ করতে পারবেন আশাকরি। আজকে আমরা গত পর্বের বিশেষ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো৷ চলুন শুরু করি

সুলতান মেহমেদ খানের অনুসারী আইয়ুব, বুসরা তে ফিরে এসে খবর দিলেন যে কাফিররা এগিয়ে আসছেন। তারা যেনো যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকেন। তিনি দৃঢ় কন্ঠে সবাইকে উৎসাহীত করলেন যুদ্ধের জন্য।  সুলতান মেহমেদ খান সহ সকলেই যুদ্ধক্ষেত্রে উপস্থিত হলেন। সুলতানদের বিপরীতে ছিল বাইজেন্টাইন সেনা। সেই সাথে ছিল সুলতানের আত্মীয় ওরহান । সুলতান মেহমেদ তার সৈন্যদের কাছে জানান যে ওরহান একা আসেনি, সেই সাথে আছে বাইজেন্টাইন নাইট’সরা।

বাইজেন্টাইন সৈন্য যথেষ্ট শক্তিশালী থাকা সত্ত্বেও, তারা সুলতান মেহমেদ এর দূরদর্শিতা এবং বীরত্তের কাছে হার মানে। ওরহান নিজের প্রাণ বাঁচাতে ছুটে যান নদীর দিকে। অবশেষে সুলতান তাকে ধরে ফেললেও বাইজেন্টাইন সৈন্য তাকে বাঁচিয়ে নেয়। ওরহান বাইজেন্টাইনদের জাহাজে চড়ে  মুরিয়া পালিয়ে যায়। 

ওরহান পালিয়ে যাবার পর উক্ত যুদ্ধে সুলতান কিছুটা আঘাতপ্রাপ্ত হয়। তার চিকিৎসা করানোর জন্য তাকে একটি গ্রামের চিকিৎসকের নিকট নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসক  ছিলেন বয়স্ক তার নাম তাতোস। সুলতান এবং তার অনুসারীরা উক্ত চিকিৎসকের নিকট পৌঁছায়। এরপর চিকিৎসক সুলতান কে দেখে অবাক হয়ে যায় এবং ভেতরে যেতে বলেন। চিকিৎসকের সাথে থাকতেন একজন দাসী তার নাম এলিসা। 

চিকিৎসক বয়স্ক হয়ে যাওয়াই তার হাত কাঁপতো তাই তিনি এনিসাকে বলেন সুলতানি সেবা করতে। এলিসা চিকিৎসার জ্ঞানে খুবই পারদর্শী ছিল। সে দক্ষতার সাথে সুলতানের ক্ষত সারানোর কাজ করে। সুলতানের এলিসাকে দেখে কিছুটা ভালো লেগে যায়। চিকিৎসার কাজ শেষ হলে এলিসাকে সুলতান ধন্যবাদ জানায় এবং ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। এলিসাকে পারিশ্রমিক হিসেবে যখন স্বর্ণ মুদ্রা দেওয়া হয় তখন সে তা নিতে রাজি হয় না। সুলতানের সাথে সেই রাতে সাক্ষাৎ এতোটুকুই। 

 সুলতান মেহেমেদ এর জীবনের অন্যতম আকাঙ্ক্ষা ছিলো কনস্টান্টিনোপল  জয় করা। এই কাজটি ছিল প্রায় অসম্ভব। কিন্তু সুলতান ছিলেন প্রচন্ড জেদি, তিনি শপথ করেন তিনি কনস্টান্টিনোপল জয় করবেন। সুলতান নানা ধরনের ভারী অস্ত্র তৈরি করতে থাকে এবং শক্তিশালী সৈন্য বাহিনী প্রস্তুত করেন। তবে তারই অনুসারী আইয়ুব বিষয়টা সহজ ভাবে নেন না। তিনি কোনভাবেই চায় না সুলতান কনস্টান্টিনোপলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করুক। তাই তিনি নানা ধরনের ষড়যন্ত্র শুরু করেন। 

প্রথমত তিনি জেনিসারিয়ার একসাথে তার ঝামেলা তৈরি করেন। জেনিসারিয়ার প্রধান সুলতান মেহমেদ এর রাজধানীতে আক্রমণ এবং লুটপাট চালায়। দ্বিতীয়তঃ এই লুটপাট এর খবর তিনি সুলতানের পিতা মুরাদ খানকে অবগত করেন। যাতে মুরাদ খান সুলতান কে কনস্টান্টিনোপল আক্রমণে বাধা দেয়। 

সুলতান মেহমেদ এর মাতা হুমা হাতুন এলিনার বিষয়ে জানতে পারেন। তিনি এলিনাকে খুঁজতে এবং তার সম্পর্কে জানতে পরিচয় গোপন রেখে এলিনার গ্রামে যান। তিনি এলিনার সাথে কথা বলেন এবং তার ব্যবহারে মুগ্ধ হয়ে এলিনাকে শহরে নিয়ে আসেন। 

এলিনা ভেসিলা নামক এক মহিলার কাছে ঔষধ বানানো শেখা শুরু করে। এরপর একদিন ভেসিলে কে হালিমে হাতুন গোপনে চিঠি পাঠায়। watch english

হালিমে হাতুন ছিলেন সুলতানের পিতা মুরাদের দ্বিতীয় স্ত্রী। তিনি হুমা হাতুনকে অনেক হিংসে করতেন এবং তাকে মেরে ফেলার চক্রান্ত করেন। তিনি ভেলিসার নিকট চিঠি লিখেন।

 চিঠিতে এমন লেখা ছিল যে, ভেলিসা যদি হুমা হাতুন কে হত্যা না করে, তাহলে হালিমে হাতুন তার পুত্র এবং পুত্রবধূকে মেরে ফেলবেন। ভেলিসা আর কোন উপায় না পেয়ে হুমা হাতুন এর ঔষধে বিষ মিশিয়ে দেয়। কিন্তু সেই যাত্রায় কোনভাবে তার প্রাণ রক্ষা পায়। তবে ভেলিসা বিষ পান করে ইচ্ছাকৃতভাবে প্রাণত্যাগ করেন। সুলতান মেহমাদ খানের পরবর্তী পর্বের আপডেট জানতে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। More

মেহমেত ফাতিহি সুলতান পর্ব ২

onubad media

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button