Onubad Media

সালাহউদ্দিন আইয়ুবী এপিসোড-১৪ বাংলায় দেখুন

Selahaddin Eyyubi Episode 14 Review in Bangla

আসসালামু আলাইকুম সালাউদ্দিন আইয়ুবীর গত পর্বটি ছিল উত্তেজনায় ভরপুর। ইহুদীবাদী চক্রান্ত থেকে গাজাকে রক্ষা করার জন্য সালাউদ্দিন আইয়ুবী নিজেকে উৎসর্গ করে দেয়। ইহুদীরা ক্রুসেডারদের সাথে মিলে গাজা থেকে মুসলমানদের দূরে সরিয়ে রাখতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে শুরু করে৷ একপর্যায়ে তারা সালাউদ্দিন আইয়ুবীর সেনাদের বন্দী করে।

সুলতান নুরুউদ্দীনের সাথে সালাউদ্দিন আইয়ুবী সর্বশেষ কথা মতো আশকালান শহর সালাউদ্দিনকে দেয়া হয়। হঠাৎ করে মেলিক মোরদুদ আসে সুলতান নুরুউদ্দীনের কাছে। সুলতানের কাছে তার একটাই দাবী আশকালান শহর। তখন সুলতান নুরুউদ্দীনের কোন উপায় না পেয়ে আশকালান শহর মেলিক মোরদুদ কে দিয়ে দেয়। সুলতান নুরুউদ্দীনের সাথে সালাউদ্দিন পরামর্শ করে গাজার উদ্দেশ্য রওনা দেন। এদিকে রানী ভিক্টোরিয়ান ক্রুসেড বাহিনী নিয়ে ইহুদীর পাদ্রীর সাথে সাক্ষাৎ করে। তারা একটি সুগঠিত বাহিনী নিয়ে গাজা শহরে প্রবেশ করে।


সালাহউদ্দীন আশকালান বিজয়ের পরে কারাতেগিন আশকালানে নিয়ম অনুযায়ী লুন্ঠন ও গনিমতের নামে জোর জবরদস্তি করে মালামাল নিতে শুরু করে। তখন সালাহউদ্দিন তাকে বাঁধা দেয়। এতে করে কারাতেগিন রাগান্বিত হয়ে চলে যায়। সালাউদ্দিন কে হুমকি দিয়ে যায় সামনে থেকে সে তার শত্রুর রূপে সালাউদ্দিনের সামনে আসবে। বন্ধুত্ব শেষ করে কারাতেগিন আশকালান ছেড়ে চলে যায়। সালাউদ্দিন সুলতান নুরুউদ্দীনের দরবারে আসে। সেখানে সুলতান সালাউদ্দিন কে আশকালানের শাসক হিসাবে নিযুক্ত করে।

এই সময়ে হঠাৎ খবর আসে একটি বিশাল ক্রুসেড বাহিনী আসতেছে। সুলতান এবং সালাউদ্দিন উভয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ে। তখন ওই বাহিনীর পিছনে গুপ্তচর পাঠানো হয়। তবে তারা ক্রুসেডে বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে। মূলত এই ক্রুসেড বাহিনীর প্রধান হিসাবে একজন ইহুদী নেতৃত্ব দিচ্ছে। যার মূল উদ্দেশ্য জেরুজালেমকে রাজধানী করে দরীয়ার ফুরাত থেকে দরীয়ায় নীল পর্যন্ত রাজ্য বিস্তার করা। মুসলমানদের ধ্বংস করা৷ ইসলাম ও আল্লাহর নাম মুছে ফেলে ইহুদিবাদ প্রতিষ্ঠিত করা৷

সালাউদ্দিন আইয়ুবী প্রথমে নিজের সামান্য সৈন্য বাহিনী নিয়ে গাজার পাশে অবস্থান নেয়।।সেখানে তারা নির্যাতিত মানুষদের সহায়তা করে। অতপর তাদের উপরে আসা ক্রুসেডরদের আক্রমন প্রতিরোধ করে। এভাবে গাজার মুসলমানদের আশার প্রদীপ হয়ে উঠে। এরপর সুলতান নুরুউদ্দীনের পরামর্শ অনুযায়ী গাজায় প্রবেশ করে সালাউদ্দিন। সালাউদ্দিন গাজায় প্রবেশর পরে তাকে বন্দী করে ফেলা হয়৷

তাকে প্রথমবার টেকফুর কমান্ডার গ্রেগরের ভালোবাসার পাত্রী সোফিয়া বাঁচিয়ে দেয়। পরবর্তীতে আবারো তাকে বন্দী করলে তাকে আরো গোপন সুড়ঙ্গপথে তাকে রাখা হয়। সেখানে তার সামনে ইহুদী তার সৈন্য ডেমিরজানকে হত্যা করে।

এরপর অন্যজনকেও হত্যা করতে যায় ইহুদী। তারপর হত্যা না করে সেখান থেকে বের হয়ে যায়। সালাউদ্দিন আইয়ুবী তখন নিজের হাতের বাধন খুলে ফেলে অন্যজনকে মুক্ত করে সেখান থেকে বের হয়ে পড়ে। সালাউদ্দিনের পালানোর খবর শুনে কমান্ডার গ্রেগর ও ইহুদী খুব রাগান্বিত হয়ে পড়ে। সালাউদ্দিনকে খুজে পেতে সৈন্যরা চারদিকে খুজতে থাকে।


সালাউদ্দিন কে সুলতান নুরুউদ্দীন আশকালান শহর দেওয়াতে মসুরের বাঘ মেলিক মোউদুদ রাগান্বিত হন। তিনি সুলতানের কাছে আশকালান দাবি করে। সুলতান সহজে দিতে চায় না। তবুও সুলতান সালাউদ্দিনকে সরিয়ে মেলিক মোউদুদকে আশকালান শহর দিয়ে দেয়।

সালাউদ্দিন আইয়ুবী এই দূর্গ তথা গাজা শহর থেকে বাহির হয়ে যায়। তার পিছু অনেক সৈন্য আসলেও তারা তাদেরকে হত্যা করে ফেলে। এরপর তারা নিরাপদে বসতিতে ফিরে আসে। কারাতেগিন গাজায় প্রবেশ করে লাল আপেল তথা রানী ভিক্টোরিয়ান কে খুজতে। তাকে তার ভালো লেগে যায়। এই যাত্রা শুরুর পরের থেকে হাতের সামনে যত মূল্যবান বস্তু পেয়েছে সব সে গনিমত হিসাবে নিয়েছে। এভাবে সে রানী ভিক্টোরিয়ান পর্যন্ত পৌছালে ক্রসেডররা জেনে যায় যে কারাতেগিন আসছে।

তখন সবাই তার পিছনে তাড়া করে৷ এভাবে কারাতেগিন শুধুমাত্র রানী ভিক্টোরিয়ান এর মাথার মুকুট নিয়ে চলে আসে৷ পরবর্তীতে তার বোন ইসমাত হাতুন এর সাথে তার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তর্ক হয়৷ কারাতেগিন কে মেলিক মোরদুদ বসতির বেদের আমির বানিয়ে দেয়৷ যদিও এটা একটা প্রতারনা মূলক কাজ করেছে মেলিক মোরদুদ। এভাবে কারাতেগিন তার বোনের সাথে বিশেষ স্বার্থের জন্য পরিপেক্ষিতে তর্ক বির্তক শুরু করে।

সুলতান নুরুউদ্দীন চায় এই ঝামেলা গুলো মূল থেকে শেষ করে দিয়ে সবার মাঝে ঐক্য ফিরিয়ে আনতে। গ্রেগর ও ইহুদীরা মিলে সালাউদ্দিন আইয়ুবীর বসতিতে আক্রমন করে আর এই ঘটনা গুলো আগামী পর্বে দেখতে চলেছি আমরা।
ইতিমধ্যে ট্রেলারে ইঙ্গিত পাওয়া যায় ক্রসেডাররা বিশাল বাহিনী নিয়ে আক্রমণ করবে। তারপরও মুসলমানদের বিজয়ের স্বপ্ন লালনকরে যাবে। তাই আগামী পর্বটি হবে আরো আকর্ষণীয় এবং রোমাঞ্চকর।

এপিসোড ১৪ডাউনলোড করুন

বাংলা সাবটাইটেল দেখুন

onubad media

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button