অনুবাদ মিডিয়া বাংলা সাবটাইটেলসালাহ উদ্দিন আইয়ুবী

সালাহ উদ্দিন আইয়ুবী এপিসোড ২৯

সালাহউদ্দিন আইয়ুবী এপিসোড ২৯ বাংলা সাবটাইটেল

সালাহউদ্দিন আইয়ুবী সিজন ১ রিভিউ: আসসালামু আলাইকুম প্রিয় ইসলামের বিজয়ের স্বপ্ন লালনকারী দর্শকরা,আশাকরি সালাহউদ্দিন আইয়ুবী সিরিজটি আপনাদের ইতিমধ্যে মনের গভীরে জায়গা করে নিতে পেরেছে। আজকে আমরা গত সিজনের বিশেষ কিছু ঘটনা নিয়ে আলোচনা করবো। সেই সাথে সামনে কি হতে চলেছে সেটা নিয়েও আলোচনা করবো। চলুন শুরু করি..

সুলতান সালাহুদ্দিন আইয়ুবি। বিশ্ব-ইতিহাসের মহাবীর। তাঁর জীবনের পরতে পরতে মিশে আছে বীরত্বের রোমাঞ্চকর সব কীর্তি। বদলে দিয়েছিলেন পৃথিবীর মানচিত্র। ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন ধর্মযুদ্ধের নামে খ্রিষ্টানদের উদ্ভাবিত হিংস্র ক্রুসেডের গতিপথ। অসীম সাহস, ইমানি তেজ ও মহানুভবতার জন্য শত্রুর কাছেও ছিলেন যারপরনাই সম্মানী। ইনসাফ ও শরিয়া প্রতিষ্ঠা করে হয়ে ওঠেন মুসলিম উম্মাহর অনুকরণীয় মহান সুলতান, উম্মাহর ভাগ্যাকাশে সৌভাগ্য আনয়নকারী তারকা।

সালাহুদ্দিনের আবির্ভাব আব্বাসি খিলাফতের শাসনকালে। আব্বাসি শাসনকেন্দ্রের দুর্বলতায় পৃথিবী তখন ক্ষমতার বিচ্ছিন্ন লড়াইয়ে বিভীষিকাময়; মিসরকেন্দ্রিক গড়ে উঠেছিল শিয়া ফাতিমি সাম্রাজ্য; খলিফার নামমাত্র আনুগত্যে মুসলিম ভূখণ্ডগুলো স্বাধীন সাম্রাজ্যে বিভক্ত; ক্রুসেডারদের হিংস্র আক্রমণে সকল জনপদ আতঙ্কিত; আকসাকে হারিয়ে উম্মাহ হতবিহ্বল-পেরেশান!

তখন এই মহান বীর নির্ভীকচিত্তে নিজেকে নিবেদিত করেন ক্রুসেডারদের সাহায্যকারী ফাতিমি সাম্রাজ্যের বিলুপ্তকরণ, ঐক্য বিনষ্টকারী শাসকদের ক্ষমতাহরণ, ইউরোপীয় ক্রুসেডারদের ঔদ্ধত্য চূর্ণীকরণ, জেরুসালেম মুক্তকরণ ও ইসলামের বিরুদ্ধে অস্ত্র উত্তোলনকারী সকল শক্তিকে নিশ্চিহ্ন করে আব্বাসি খিলাফতের পতাকাতলে উম্মাহর ঐক্যের জন্য!আজকের পৃথিবীও একজন নুরুদ্দিন জিনকি ও সালাহুদ্দিনের অপেক্ষায়; দ্বিতীয় খিলাফতে রাশিদার পতাকাতলে সেই ভবিষ্যৎ-কান্ডারি সালাহুদ্দিন আবারও ফিরে আসবে, মুক্ত করবে আকসা; ধূলিসাৎ করবে নব্য ক্রুসেডারদের দম্ভ!

সালাহউদ্দিন আইয়ুবী এপিসোড ২৯ বাংলা সাবটাইটেল

সালাহউদ্দীন আশকালান বিজয়ের পরে কারাতেগিন আশকালানে নিয়ম অনুযায়ী লুন্ঠন ও গনিমতের নামে জোর জবরদস্তি করে মালামাল নিতে শুরু করে। তখন সালাহউদ্দিন তাকে বাঁধা দেয়। এতে করে কারাতেগিন রাগান্বিত হয়ে চলে যায়। সালাউদ্দিন কে হুমকি দিয়ে যায় সামনে থেকে সে তার শত্রুর রূপে সালাউদ্দিনের সামনে আসবে। বন্ধুত্ব শেষ করে কারাতেগিন আশকালান ছেড়ে চলে যায়।

সালাউদ্দিন সুলতান নুরুউদ্দীনের দরবারে আসে। সেখানে সুলতান সালাউদ্দিন কে আশকালানের শাসক হিসাবে নিযুক্ত করে। এই সময়ে হঠাৎ খবর আসে একটি বিশাল ক্রুসেড বাহিনী আসতেছে। সুলতান এবং সালাউদ্দিন উভয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ে। তখন ওই বাহিনীর পিছনে গুপ্তচর পাঠানো হয়। তবে তারা ক্রুসেডে বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে। মূলত এই ক্রুসেড বাহিনীর প্রধান হিসাবে একজন ইহুদী নেতৃত্ব দিচ্ছে। যার মূল উদ্দেশ্য জেরুজালেমকে রাজধানী করে দরীয়ার ফুরাত থেকে দরীয়ায় নীল পর্যন্ত রাজ্য বিস্তার করা। মুসলমানদের ধ্বংস করা৷ ইসলাম ও আল্লাহর নাম মুছে ফেলে ইহুদিবাদ প্রতিষ্ঠিত করা৷

সালাহউদ্দিন আইয়ুবী এপিসোড ২৯ বাংলা সাবটাইটেল

ক্রুসেড বাহিনী রানী ভিক্টোরিয়া ও গ্রেগর কে অপহরন করে আব্রাহামের কাছে নিয়ে যায়। এই আব্রাহম হলে মূল শক্তি ও প্রধান ব্যক্তি এই বাহিনীর। সালাহউদ্দিন আইয়ুবীর বাবা তাকে গাজার উদ্দেশ্য রওনা হতে পরামর্শ দেন। এতে করে সালাহউদ্দিন তার সৈন্য বাহিনী নিয়ে বাবা ও সুলতান নুরুউদ্দীনের নির্দেশ গাজ্জাতুল ইজ্জাহ এর দিকে রওনা হন। অন্য দিকে ক্রুসেড বাহিনীও গাজাবাসীর জন্য মৃত্যুর দূত হয়ে আসছে৷


সালাহুদ্দীন আইয়ুবি তার চৌকস গোয়েন্দা প্রধান আলি বিন সুফিয়ান কে দিয়ে সব তথ্য আগেই পেয়ে যান ।আর খুবই কৌশলে তাদের বিদ্রোহ দমন করেন। এদিকে সেনা বিদ্রোহ করিয়ে দালালরা সম্রাট ফ্রাঙ্ককে আক্রমণ করার আগমনও জানায়। কিন্তু সালাহুদ্দীন আইউবি আগেই বিদ্রোহ দমন করেন,

আর যখন পরে সুলতান নুরেদ্দিন কি তার রাজপ্রাসাদের গভীর পর্যন্ত বিস্তৃত বিশ্বাসঘাতকতার এই জাল উন্মোচন করতে পারবেন এবং ভাইয়ের রক্তপাত রোধ করতে পারবেন? পাহাড়ের বে’রা কি জেঙ্গিদের তুর্কমেন বসতির লোকদের বিরুদ্ধে লড়াই করার পরিকল্পনায় সফল হবে? সালাউদ্দিনকি খুব গোপন ও বিপজ্জনক সংগঠন অ্যাসাসিনদের রহস্য উদঘাটন করতে পারবে এবং পাহাড়ের বে’দের কাছে পৌঁছাতে পারবে?এই সকল প্রশ্নের উত্তর পেতে চোখ রাখুন সিজন ২ এ।


আর বুঝাই যাচ্ছে সিজন ২ রক্তক্ষয়ী হতে চলেছে তা একদম নিশ্চিত..। আর এই ভলিউম এ অনেক বিশ্বাসঘাতক এর মুখ সামনে আসবে.. চারদিকে বেজে উঠলো যুদ্ধের দামামা। অবশেষে যুদ্ধের ময়দানে মুখোমুখি হলো সহদর দুই ভাই। মেলিক নুসরুদ্দীন ও সুলতান নুরুদ্দিন জেঙ্গি। মুহূর্তেই যুদ্ধের উত্তপ্তটা ছড়িয়ে পড়লো চারদিকে।ভাইয়ের সাথে ভাইয়ের যুদ্ধ। আহ্ কি মর্মান্তিক।

সালাহউদ্দিন আইয়ুবী এপিসোড ২৯ বাংলা সাবটাইটেল

একপর্যায়ে সুলতান নুরুদ্দিনের তরবারির আঘাতে মাটিতে লুটিয়ে পড়লো মেলিক নুসরুদ্দীনের নিথর দেহ ।এভাবেই পরিসমাপ্তি ঘটলো সাম্রাজ্যের এক বিশ্বাসঘাতকের। সুলতান নুরুদ্দিন উভয়ের কথা শুনে প্রত্যাখ্যান করেন এবং তাদেরকে ফেরত পাঠিয়ে দেন সুলতান নুরুদ্দিনের প্রস্তাবে স্বাক্ষর করেন নাই। আমির সালাউদ্দিন তার বসতিতে ফিরে আসে এবং তার বসতিকে কুরসীদের হাত থেকে রক্ষা করে। আমির সালাউদ্দিনকে বন্দী দশা থেকে যখন মুক্ত করা হয় তখন একটি গোপন রহস্য সামনে নিয়ে আসেন বিভিন্ন জায়গার বেগন।ইহুদীদের ষড়যন্ত্র তিনি জানতে পেরে যান।

কয়েকজন ইহুদি পন্ডিত মিলে হারানো সিন্দুক সেই সিন্দুক নিয়ে একটি মন্দিরের উদ্দেশ্যে রওনা হন এবং সেখানে তারা একত্রিত হয়ে একটি গোপন মিটিং এর জন্য প্রস্তুতি শুরু করেন। আমির সালাউদ্দিন যখন এই গোপন মিটিং এর বিষয়ে জানতে পারে এবং সুফিয়া তাকে এই কর্মে সহায়তা করেন। আমির সালাউদ্দিন আব্রাহামের পিছনে এবং সকল ফাঁদ অতিক্রম করে তারা সেই মন্দিরে প্রবেশ করে পরে সেখানে উপস্থিত পন্ডিতদেরকে তারা হত্যা করে এবং আব্রাহাম কে সেই সিন্দুকসহ তাকে ধরে ফেলে।

আব্রাহা আমির সালাউদ্দিন থেকে বাঁচার জন্য বিভিন্ন ধরনের কৌশল এবং ফাদ স্থাপন করেছিলেন। অদৃশ্য বাহিনীর শক্তি তাকে আরো উদ্দিপ্ত করেছে এবং সেই শক্তি ও নিজের সৈন্য নিয়ে সিন্ধুক উদ্ধার অভিযানে নেতৃত্ব দেন। কারাতেগিন এবং আমির সালাউদ্দিনের মধ্যে শত্রুতা এখনো চলতে থাকে। যখন কারাতেগিন আমির সালাউদ্দিনের বসতি থেকে বাহিরে বের হয় তখন রানী ভিক্টোরিয়া তাকে আক্রমণ করে। রানী ভিক্টোরিয়ার এই আক্রমণ শুধুমাত্র তার সম্মানহানি ও তার থেকে উত্তম প্রতিশোধ নেয়ার জন্য ।

ইতিমধ্যে ট্রেলারে ইঙ্গিত পাওয়া যায় ক্রসেডাররা বিশাল বাহিনী নিয়ে আক্রমণ করবে। তারপরও আমির সালাউদ্দিন মুসলমানদের বিজয়ের স্বপ্ন লালনকরে যাবে। তাই আগামী পর্বটি হবে আরো আকর্ষণীয় এবং রোমাঞ্চকর। আগামী সিজন দেখতে চোখ রাখুন অনুবাদ মিডিয়া পেজে। More

সালাহউদ্দিন আইয়ুবী এপিসোড ২৯ বাংলা সাবটাইটেল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button